1. onemediabd@gmail.com : admin2 :
  2. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে - ধানের শীষ
রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গণভোট ও সাংবিধানিক বৈধতা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ক্ষমতার রূপান্তর ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সংকট হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের সিদ্ধান্ত মানবে না বিএনপি: মির্জা ফখরুল এদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ নেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, অন্তর্বর্তী সরকার ও সংবিধানিক ভারসাম্য: একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ হাসিনার ফ্যাসিবাদী যাত্রা শুরু হয় ২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত তাণ্ডব দিয়ে : রিজভী বিভ্রান্তিকর গণভোট বনাম বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা; বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের দ্বন্দ্ব, দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতীত ও বর্তমান ঐতিহ্য : জ্ঞান, নেতৃত্ব ও সামাজিক বিকাশের এক ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ

সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশ ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, প্রতারণা করেছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা আ স ম আবদুর রব অসুস্থ থাকায় উপস্থিত ছিলেন দলটির সহসভাপতি এবং আ স ম আবদুর রবের সহধর্মিণী তানিয়া রব।

জুলাই সনদ ও বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এটা (সুপারিশ) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করল, তখন সেটায় অনেক পার্থক্য দেখা গেল। বিশেষ করে যে নোট অব ডিসেন্টগুলো ছিল, সেগুলো যেন সুপারিশে উল্লেখ থাকে, তেমনটা বলেছিলাম। এ ব্যাপারে আমরা আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছিলাম। কিন্তু সেই আস্থা, বিশ্বাসের সঙ্গে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যেটা আমরা তাদের কাছ থেকে আশা করিনি।’

তিনি বলেন, ‘গণভোট সংসদ নির্বাচনের আগে করার কোনো সুযোগ এখন আর নাই। নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে, সে কথা আমরা পরিষ্কার করে বলেছি। সেখানে দুটি ব্যালট থাকবে, একটি গণভোটের, আরেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য। সুতরাং এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত কারো থাকতে পারে বলে মনে করি না। খুব পরিষ্কার বলতে চাই, আমরা নির্বাচন করব, নির্বাচন করতে চাই। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেই ঘোষণার সঙ্গে একমত হয়ে আমরা নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, বিলম্বিত করার জন্য একটা মহল উঠে-পড়ে লেগেছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’

সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি করা দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে যাঁরা এ নিয়ে গোলমাল করছেন, রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের অনুরোধ করব—দয়া করে, জনগণকে অনেক বিভ্রান্ত করেছেন, অতীতে অনেক করেছেন। সেগুলো আমি বলতে চাই না। একসময় এই দেশের সব মানুষের চাহিদা ছিল দেশ স্বাধীন হবে। আপনারা (জামায়াতে ইসলামী) সেটার বিরোধিতা করেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। আজকে দয়া করে জনগণ যে নির্বাচন চায় সেই নির্বাচনের বিরোধিতা করবেন না। এই দেশের মানুষ কখনো প্রতারক বা যারা প্রতারণা করে তাদের ক্ষমা করে না, তারা ক্ষমা পায় না। সুতরাং আপনারা ওখান থেকে সরে আসুন। নির্বাচন করুন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠিত হোক—এটাই আমরা সবাই চাই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। এই সংকট থেকে আমরা যেদিকে উত্তরণ ঘটাতে পারি, সেদিকেই আমাদের যাওয়া দরকার, আমাদের যেতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আমাদের মিত্রদের নিয়ে যাদের সঙ্গে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি, কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে নিয়েই সরকার গঠন করতে চাই। খুব পরিষ্কার কথা আমরা বলেছি, নির্বাচনের পরে আমরা একটা জাতীয় সরকার গঠন করতে চাই। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে এ নির্বাচনকে উপলক্ষ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং নির্বাচনকে অত্যন্ত সুন্দর-সুষ্ঠুভাবে করে আমাদের জনগণের একটা পার্লামেন্ট-সরকার গঠন করি।’

সংস্কার নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে যত সংস্কার, সব বিএনপির হাত দিয়ে। আমরাই সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছি। আমরাসহ সব রাজনৈতিক দল সংস্কার করতেই সনদে সই করেছে। যে সংস্কারগুলোতে আমরা একমত হয়েছি, ভবিষ্যতে সেগুলোই আমরা বাস্তবায়ন করব, যদি আমরা ক্ষমতায় আসি। আমরা যেগুলো পারিনি সেগুলো আমাদের ম্যানিফেস্টোতে নিয়ে এসে আমরা করব।’

জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট