1. onemediabd@gmail.com : admin2 :
  2. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্য, অনিশ্চয়তায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন - ধানের শীষ
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্য, অনিশ্চয়তায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এমন কোনও নির্বাচন আয়োজন উচিত নয়, যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে : ডা. জাহিদ আমন উৎপাদনে তিন চ্যালেঞ্জ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোন বিকল্প আমাদের হাতে নেই : প্রধান উপদেষ্টা ঐকমত্যে না পৌঁছালে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ : সালাহউদ্দিন চলতি মাসেই নির্বাচনে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের পরাজয় ও শিবিরের উত্থান নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মুল্যায়ন এবং কিছু কথা

কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্য, অনিশ্চয়তায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : শেষ মুহূর্তে এসে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কমিশনের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নের চার পথের কথা বলা হলেও তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো। বাস্তবায়নের আগে তারা প্রশ্ন তুলেছে চূড়ান্ত জুলাই সনদ নিয়ে। কমিশন ৮৪টি বিষয়ে একমত হয়েছে বলে দলগুলোকে জানালেও তা সঠিক নয় বলে জানায় দলগুলো। তাদের বক্তব্য, কমিশনের দাবি করা ঐকমত্য হওয়া বিষয়ে অনেক দলের নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, আংশিক একমত হওয়ার ইস্যু রয়েছে। এসব বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তাই এটা চূড়ান্ত সনদ হতে পারে না। এ পরিস্থিতির মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে প্রতিটি দলের কাছে দুজন সদস্যের নাম চেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়টিকে চাপিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা। তারা বলেছেন- নিজেদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জুলাই সনদে আদৌ স্বাক্ষর করব কি না। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বৃহস্পতিবার ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দিনব্যাপী ওই বৈঠকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য হতে পারেনি দলগুলো। বরং কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের নানা দিক নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলেন। সাংবিধানিক ও আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে বিশ্লেষণ করেন। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকালে ফের দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। ধরে নেওয়া হচ্ছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের এটাই শেষ বৈঠক। তবে এতে কোনো সমাধান আসবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান দলগুলো। ওদিকে কমিশন জানিয়েছে, সনদ তৈরি ও বাস্তবায়নের পথ দেখানো পর্যন্ত আমাদের দায়িত্ব। সেটা পালন করেছি। এখন বাকি দায়িত্ব সরকারের। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সহযোগিতা তারা করবে কি না সে সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট, অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এনিয়ে আলাদা মতামত দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি জানায়, যেসব সংস্কার বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে তা আগামী সংসদে বাস্তবায়ন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী জানায়, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে সংবিধান সংস্কার করে জুলাই সনদের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এনসিপি আগের মতোই গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান চেয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদ্যমান সংবিধানেই মৌলিক বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো। কমিশন যেসব প্রশ্নে এক হয়েছে, আগামী সংসদের প্রতিনিধিরা তা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হবেন, সে সংক্রান্ত আইন করতে হবে। তিনি চান, আগামী সংসদ হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ নামে যারা দেশের মৌলিক সংস্কারের কাজ করবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনাও করবে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে আগামী জাতীয় সংসদ। কারণ সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান সংবিধানের আলোকেই আমরা চলছি। সনদ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ হলে বিপজ্জনক হবে বলে সাইফুল হকের আশঙ্কা। তিনি মনে করেন, এমনটি হলে ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধিদের না জানিয়ে রাষ্ট্রপতি যে কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ বলেন, বিশেষ সাংবিধানিক অধ্যাদেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ নির্বাচিত সরকার তা করবে কি না অনিশ্চিত। রাজনৈতিক দলগুলোর এসব মতামতের বিপরীতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নির্দিষ্ট কোনো ব্যাখা পাওয়া যায়নি। তবে এ প্রসঙ্গে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। সুপারিশের যেসব বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয়, সেসব বিষয় বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ জারি করতে পারে এবং সুপারিশের যেসব বিষয় সরকারি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আদেশ ও বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করতে পারে।

চূড়ান্ত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭টি অঙ্গীকার করার শর্ত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সনদ পূর্ণাঙ্গভাবে সংবিধানে তফসিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করার অঙ্গীকার নেওয়া হবে দলগুলোর কাছ থেকে। সনদের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন না করার শর্ত রয়েছে। চূড়ান্ত সনদে ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়টা দল একমত, একমত নয়, মতামত দেয়নি ও নোট অব ডিসেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। সনদে বিদ্যমান সংবিধানে থাকা চার মূলনীতি বাদ দেওয়া হয়েছে। উচ্চকক্ষে রাখা হয়েছে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট