1. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
সরকার পরিচালনা করতে চাইলে নাগরিকদের কথা শুনতে হবে: তারেক রহমান - ধানের শীষ
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ বিএনপির নির্বাচন দাবির যৌক্তিকতা এখন প্রমাণ হচ্ছে : মির্জা ফখরুল পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত কমিশনের, আলোচনায় উত্তেজনা সরকার পরিচালনা করতে চাইলে নাগরিকদের কথা শুনতে হবে: তারেক রহমান এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল সংস্কারের অধিকার কেবল নির্বাচিত সরকারের : মঈন খান সাংবিধানিক নয়, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পক্ষে বিএনপি সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে : মাহফুজ আলম শেখ হাসিনাকে ভারত কেন পুশইন করছে না : রুহুল কবির রিজভী গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ ১৫ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ

সরকার পরিচালনা করতে চাইলে নাগরিকদের কথা শুনতে হবে: তারেক রহমান

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : সরকার পরিচালনা করতে চাইলে অবশ্যই নাগরিকদের কথা শুনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দেশের সর্বস্তরের জনগণ কয়েকজন মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য গত দেড় দশক ধরে আন্দোলন অব্যাহত রাখেননি কিংবা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জনগণ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই স্বৈরাচারকে হটিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে। সুতরাং সরকারে যারাই থাকুক, সরকার পরিচালনা করতে চাইলে অবশ্যই নাগরিকদের কথা শুনতে হবে।”

ঢাকার আশুলিয়ায় বুধবার বিএনপির ‘নারকীয় জুলাই’ প্রতিবাদ সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আমি মনে করি, একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে নির্বাচন। প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজের কথা নিজেই বলতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার স্বার্থেই একটি দায়িত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি বারবার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেয়। আমি বিশ্বাস করি, স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেলে রাষ্ট্র এবং সরকারে জনগণের ইচ্ছা প্রাধান্য পাবে। রাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”

তারেক রহমান বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন শ্রমিক। বিশেষ করে সাভার আশুলিয়ায় শ্রমিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছিল। হত্যা করে লাশগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের সঙ্গে এমন বর্বরতা, এমন নির্মমতা কারবালার নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টদের পলায়নের দিন সাভার আশুলিয়ায় গণহত্যা চলছিল।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “গত বছর জুলাইয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের সরাসরি কোনও স্বার্থ জড়িত ছিল না। কারণ তারা কোনও সরকারি চাকরির আশা করেননি। তাহলে প্রশ্ন আসে, পোশাক কারখানার শ্রমিক-দিনমজুর, ভ্যানচালক, রেস্তোরাঁকর্মী, রিকশাচালক কেন সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। কারণ একটাই, ফ্যাস্টিস্ট যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে তাহলে কেউ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত পাবেন না। কোনও ন্যায্য দাবি আদায় হবে না। এ কারণে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসেন।”

তারেক রহমান বলেন, “সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জনগণের মুখাপেক্ষী করা গেলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। একই সঙ্গে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট