1. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
তিন দিনে হাজার ছাড়াল ডেঙ্গুরোগী ভর্তি - ধানের শীষ
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

তিন দিনে হাজার ছাড়াল ডেঙ্গুরোগী ভর্তি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আরও ৩৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে জুলাইয়ের প্রথম তিন দিনেই ভর্তির সংখ্যা হাজার (১১৬০) ছাড়াল। এর মধ্যে বুধবার ভর্তি হয়েছিলেন ৪১৬ জন। যেটি এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তির রেকর্ড। এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৪৫৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তি বরিশাল বিভাগীয় এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে, ১৫০ জন। এছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭৮ জন, ঢাকা বিভাগে ৪৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২ জন, খুলনা বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৯ জন এবং সিলেট বিভাগে দুজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এক হাজার ৩২৯ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৫১ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯৭৮ জন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীন সরকারের পক্ষ থেকে ১৯ হাজার কম্বো কিট দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এসব কিট হস্তান্তর করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি মিশন চিফ লিউ ইউইন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স ও ডায়াগনস্টিক কিট পাঠানোসহ সবধরনের সহযোগিতা অতিদ্রুত পাঠাচ্ছে। এমনকি আজকে চীন সরকার যে ডেঙ্গু কিট দিল সেটিও তারই অংশ। স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী বলেন, ডেঙ্গুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভেক্টর প্রোগ্রাম। প্রাথমিক এই শনাক্তকরণ প্রোগ্রাম যখন ব্যর্থ হতে থাকে অথবা মৌসুম পরিবর্তন হয় তখন হাসপাতালে রোগী বেড়ে যায়। এজন্য যে উৎসগুলোর কারণে এই পরিস্থিতি হচ্ছে সেখানে নজর দিতে হবে। যার যার দায়িত্ব সে পালন করলে শুধু চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ পোহাতে হবে না।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট