অনলাইন ডেস্ক : লন্ডনে গত শুক্রবার ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপট আলোচনায় ছিল, বিশেষ করে উনারা দুজনের মধ্যে যখন আলাদাভাবে বৈঠক হয়েছে। আর এর আগে যখন দুইটি ডেলিগেশন এক সঙ্গে বৈঠক করেছে, তখন মূলত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রবিবার ‘চ্যানেল এস’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে ‘ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক’ শিরোনামের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ বাংলাদেশের বাস্তবতায় যেখানে জনগণের প্রত্যাশা- সেই বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। রমজানের পরে নির্বাচন হলে যে সমস্যা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রমজান তো একটা সংযমের মাস। এই মাসে আমরা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপার আছে, ধর্মীয় প্র্যাকটিসের ব্যাপার আছে। তারপরে রমজান পরবর্তী সময় আবহাওয়া কঠিন, আবহাওয়া গরম একদিকে, আবার ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন দুর্যোগ আমরা বাংলাদেশে দেখেছি বিগতদিনে। এই সময়টা সুবিধাজনক না। তার উপর আবার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ব্যাপার আছে। তো সব মিলিয়ে, আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে নির্বাচনটা রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে যাতে হয় আর কি।
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যতক্ষণ না তারিখ ঘোষণা করবে, ততক্ষণ তো আমরা সরাসরি কেউ বলতে পারব না। তবে ফিলিংটা যেটা রোজার আগে হওয়া উচিত, এই ফিলিংটা আলোচনার মাধ্যমে সম্মত হয়েছে সবাই।
বৈঠকের পরিবেশ নিয়ে বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, খুবই ভালো। খুবই আন্তরিক, খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। এই কালচারটা আমাদের ডেভেলপ করতে হবে। আমাদের যে সকলে সকলের সঙ্গে এঙ্গেজ হওয়া, কথা বলা- এটা তো রাজনীতির একটা অংশ। যেটা গত ১৫-১৬ বছর আমরা ভুলে গেছি। সুতরাং আমাদের রাজনৈতিক কালচারে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের সকলের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আমাদের মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে। অন্যের ভিউতে আপনি ভিন্ন মত পোষণ করলেও অপরের মতামতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। এই কালচারগুলো না আসলে শত সংস্কার করেও তো সামনের দিকে এগোনো যাবে না। গণতান্ত্রিক কালচার একটা অঙ্গাঙ্গিক ব্যাপার। এই বিষয়টা আমাদেরকে সকলকে অনুধাবন করতে হবে।