========================
ভাইরে আজহারি, ডালিম বা পিনাকী-ইলিয়াস কি কইলো সেই সব নিয়া ফেসবুক গরম না কইরা বা আজাইরা শত্রু না বাড়ায়া বরং নিজের চরকায় তেল দেন। বাইরের শত্রু খোজার আগে ঘরের শত্রু খুইজা বাইর করেন!!
* বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজি বা আওয়ামী শেল্টারের যেই সব কুৎসিত অভিযোগ বাজারে চাউর হইতেছে সেই দিকে নজর দেন।
– অভিযোগ মিথ্যা হইলে জনগন আশ্বস্ত হবে এমন বয়ান নিয়া সামনে আসেন।
-অভিযোগ সত্য হইলে দোষীদের এমন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন, যেন পরদিন থেকে আর কেউ এইসব কুকামের সাহস না করে।
* ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল পক্ষের প্রস্তাবনার বিপরীতে অবস্থান নিয়া, দুর্নীতির বরপুত্র চুপ্পুর অপসারন বাতিলের জন্য কেনো গো ধরলেন, এবং আবদার আদায় কইরা ছাড়লেন, সেইটা জাতিরে কিলিয়ার করেন।
* যেই ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগরে ১৫ বছর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের হাজারো নেতাকর্মী খুন গুমের জন্য দায়ী করলেন হঠাৎ কোন বিশেষ কারনে এদের জন্য আপনাদের দরদ উথলাইয়া পাথলাইয়া উঠতেছে, তার গ্রহনযোগ্য বয়ান জাতির সামনে আর দলের সাধারন নেতাকর্মীর সামনে হাজির করেন।
* সারাজীবন শুনলাম, ৭২ এর সংবিধানের গুষ্টি উদ্ধার করতে। যখন সংবিধান সংস্কারের প্রশ্ন আসে, তখন কোন যাদুবলে হঠাৎ কইরা ৭২ এর সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গন্ধ পাইয়া, আভেগে কাইন্দা বুক ভাসায়া ফালাইতেছেন সেইটাও আমাদের মতো আম জনতাদের কিলিয়ার করেন। আমরাও কান্দি।
বলি কী, ভোট হইলেই দেশের সব লোক ঝাপাইয়া পইড়া আপনাগো ভোট দিয়া মসনদে বসাইয়া দিবে, এইসব ইউফোরিক চিন্তা ভাবনা থেইকা বারায়া আসেন। তখতে তাউশের রাস্তা এহন আর এতো মসৃন না ভাইসব।
বরং :
১. দল গুছানোর দিকে মন দেন।
২. ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিগুলোর পিছে অযথা গুতাগুতি না কইরা একটা ঐক্য প্রচেষ্টার ডাক দেন। জাতীয় ইস্যুতে কিছু বিষয়ে ঐক্যমতে আসেন। সেই ঐক্যের নেতৃত্ব গ্রহনের চেষ্টা করেন। এখনও সময় আছে। এই পথে চলতে থাকলে, দুইদিন পরে ঐক্য প্রচেষ্টা বা নেতৃত্ব, কোনটাতেই সফল হইতে পারবেন না।
৩. জনগনের ও সাধারন নেতাকর্মী, সমর্থকদের পালস বোঝার চেষ্টা করেন। সেই মতো রাজনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহন করেন।
কানে কানে একটা কথা কই, পিনাকী ইলিয়াসের লাখ লাখ ফলোয়ারের বিশাল অংশ কিন্তু আপনাগোর সমর্থক। তারা ফখরুল, রুমিন বা রিজভীর কথা চেয়ে তাদের কথা বেশি গোনে। এইটা কঠিন বাস্তবতা।
খালি খালি শত্রু বাড়ায়েন না। এরা কোন কালেই আপনাদের শত্রু ছিলো না। আপনারা বানাইতেছেন।
৪. দলের রেন্ডিয়ান আর আওয়ামীদের সাথে গোপন আতাত করা আর শেলটার দেয়া দালালগুলারে লাত্থি দিয়া দ্রুত দল থেইকা খেদান।
৫. নিয়মতান্ত্রিক ও উৎপাদনমুখী রাজনীতির আলোকে দলের গঠনতন্ত্রে আমুল পরিবর্তন/ সংস্কার আইনা দল পরিচালনা করেন।
* দলীয় কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করেন। কে কোন পর্যায়ের নেতা, কে কর্মী তার সুস্পষ্ট ডিমারকেশন থাকতে হবে।
* একটি গণমুখী ও নিয়মতান্ত্রিক দলের গঠনতন্ত্র বানানো কঠিন কাজ। এক্সপার্ট হায়ার করেন। কইবেন ‘ইটস টু লেট বাছা’। আমি কমু ‘লেট বেটার দেন নেভার’। নিয়মতান্ত্রিকতা না থাকলে দল তাসের ঘরের মতো ভাইংগা যাবে যে কোন মুহুর্তে। অতীতের মুসলিম লীগ, একসময়ের জাতীয় পার্টি, আর অধুনা আওয়ামী লীগ — এদের কথা মাথায় রাইখেন।
৬. পুরানো ধ্যান ধারনার রাজনীতি বাদ দিয়া শহীদ জিয়ার আদর্শের উৎপাদন ও জন কল্যানমুখী রাজনীতির কথা ভাবেন। দেশব্যাপী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন ইত্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন সেল গঠন করে নানামুখী সমাজ কল্যানমুলক কার্যক্রম গ্রহনের মাধ্যমে নতুন ধরনের রাজনীতির গোড়াপত্তন করেন। শ্যাডো মন্ত্রী সভা গঠন করেন। বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য দলের গবেষনা সেল গঠন করেন। জাতির সামনে প্রমান করেন আমরা ক্ষমতার রাজনীতি নয় বরং দেশ গঠনের রাজনীতি করি। ‘জিয়া পিরিতি’ শুধু আওয়াজে না কাজে দেখান।
৭. নিজেদের পত্রিকা বের করেন। ‘দিনকাল’ টাইপ অখাদ্য কুখাদ্য না। হ্যাডাম না থাকলে আমার দেশ এর সাথে যুক্ত হইয়া যান। আজাইরা মাহমুদূর রহমানরে না খোঁচায়া, মিল্যা যান। সে আপনাদেরই লোক। পিনাকী ইলিয়াসের মতো শক্ত ইউটিউবার তৈরী করেন। হ্যাডাম না থাকলে মিল্ল্যা যান। আখেরে ফায়দা হবে।
৮. সাধারন কর্মী, সমর্থকদের বলি। তেলবাজি বাদ দিয়া, দলের গঠনমূলক সমালোচনা কইরেন। সাদা রে সাদা আর কালারে কালা বলার মতো মানসিক শক্তি অর্জন করেন। অতিভক্তি দেখায়া লাইম লাইটে আসার প্রবনতা বাদ দেন। এতে দলের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি। আওয়ামীলীগের পতনের অন্যতম কারন, তাদের মেরুদন্ডহীন, তেলবাজ নেতা-কর্মী বাহিনী। শিক্ষা নিয়েন।
৯. শেষ কথা আবার মনে করায়া দেই, অযথা এরে ওরে গুতাগুতি কইরা শত্রু না বাড়ায়া, নিজের চরকায় তেল দেন।
** দেশের মানুষ কিন্তু খুব ধীরে ধীরে পোস্ট কলোনিয়াল মাইন্ড সেট থেইকা ডি কলোনাইজড মাইন্ডসেটের দিকে যাইতেছে। অগাস্ট বিপ্লব জাতির জন্য সেইটারই টার্নিং পয়েন্ট।
খুব খেয়াল!!
(অনেকে গালি দিবেন জানি। দেন, সমস্যা নাই। শুরুতেই কইছি আত্মভাবনা। হাজার মানুষের হাজার ভাবনা। গালি দেওয়ার লগে লগে নিজেও একটু ভাইবেন।)