অনলাইন ডেস্ক : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে না দিলেও ২০২৫ সালের মধ্যেই ভোট চায় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, তাদের সব সাংগঠনিক কর্মকান্ড এখন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে। অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এক-এগারোর সরকারের মতো দুই নেত্রীকে মাইনাস করার কোনো কৌশল এ সরকারের থাকতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। আর অন্য কারণ হলো দলের প্রতি জনসমর্থন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। সব মিলিয়ে আগামী বছরই ভোট চায় বিএনপি।
বর্তমান সরকার ছয়টি খাতে সংস্কারের ঘোষণা দেয়, যাতে স্বৈরশাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়। গণমাধ্যমসহ আরও কয়েকটি খাতে সংস্কারের জন্য কয়েক দিন আগে আরও ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। তবে সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার করে দিয়ে যাবে, সেটা চায় না বিএনপি। দলটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে। এজন্য ‘যৌক্তিক’ সময় দিতে রাজি। পাশাপাশি বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো নির্বাচনি রোডম্যাপ দাবি করেছে। এরই মধ্যে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপের ঘোষণা না এলে আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে আন্দোলন কর্মসূচিতে যাবে দলটি।
বিএনপি নেতৃত্ব মনে করে, এক-এগারোর সময় ক্ষমতাসীনরা দুই নেত্রীকে (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা) মাইনাস করতে কিংস পার্টি গঠন করেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি সফল হয়নি। এবারেও সে রকম কোনো বিষয় থাকতে পারে বলে এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি চাইছে সম্ভাব্য কিংস পার্টি গঠনের আগেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। রোডম্যাপ ঘোষণা হলে সব দল নির্বাচনি কার্যক্রমে ব্যস্ত হয়ে যাবে। ফলে এক-এগারোর ভয় অনেকটাই কেটে যাবে।
এ বিষয়ে মিডিয়াকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ভোট তাড়াতাড়ি হবে? নাকি আরও দেরি হবে। আমরাও বলছি, যদি নির্বাচন দীর্ঘায়িত হয় তাহলে পতিত স্বৈরাচার আবার ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের দাবি দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে।