1. onemediabd@gmail.com : admin2 :
  2. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
ঋণখেলাপিদের সুদ মাফ করা খুবই আপত্তিকর: ফরাসউদ্দিন - ধানের শীষ
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দেশের সব ক্রান্তিকালে জিয়া পরিবার হাল ধরেছে : আমান বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যোগদান এবং আগামীর বাংলাদেশ ভাবনা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: ফখরুল ২৩ নভেম্বর ফিরছেন তারেক রহমান দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন : ফখরুল তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দাবাড়ু নীরকে আর্থিক সহায়তা ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না : নবীউল্লাহ নবী শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ বিএনপির তিনশ আসনে একক প্রার্থী; কৌশলগত কারণে পরিবর্তন আসতে পারে ৫০ আসনে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে : মির্জা ফখরুল

ঋণখেলাপিদের সুদ মাফ করা খুবই আপত্তিকর: ফরাসউদ্দিন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : বড় বড় ঋণখেলাপির ঋণের সুদ মাফ করার বিষয়টি খুবই আপত্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বলেন, এবারের বাজেটে আইএমএফের প্রভাব থাকায় পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনায় তেমন দিকনির্দেশনা দেখা যায়নি। অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও ঋণখেলাপি চক্র রোধ করা না গেলে এরা সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। বড় বড় ঋণখেলাপির ঋণের সুদ মাফ করা হচ্ছে। এটা খুবই আপত্তিকর বিষয়।

শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ছায়াসংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ছায়াসংসদে ‘এবারের বাজেট টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবে’ শীর্ষক বিতর্কে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন আরও বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো যে ৫০ হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে তা খেলাপি ঋণ হিসাবে গণ্য করা উচিত। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

তিনি জানান, মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুত ও সরবরাহে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় খাদ্যাভাবে ’৭৪ সালে বহু লোকের মৃত্যু হয়। তাই মজুত ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। বাজেটে বিদেশ থেকে যে ৯৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে এটা মারাত্মক ক্ষতিকর অস্ত্র হতে পারে। সরকারকে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণনির্ভরতা কমিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ায় জোর দেওয়া উচিত। ব্যাংক থেকে অধিক পরিমাণে ঋণ নিলে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবেন না। এতে বিনিয়োগ আরও স্থবির হয়ে যাবে। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা খাত শক্তিশালী হবে।

অনুষ্ঠানে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাজেট আসে বাজেট যায়। বাসা ভাড়া, যাতায়াত ব্যয়, দ্রব্যমূল্য, সন্তানের লেখাপড়া খরচ, চিকিৎসা ব্যয় বাড়বে কি না তা নিয়ে বাজেটের পর সাধারণ মানুষ দুশ্চিন্তায় থাকে। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হলে বিপাকে পড়ে সীমিত আয়ের মানুষ। তবে প্রতিবছর বাজেটের পর সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়া একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। দিনে দিনে আয় বৈষম্য বেড়ে চলছে। ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্যের কারণে সামাজিক অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তা হবে দুঃখজনক।

তিনি জানান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা, অর্থ পাচার, লাগামহীন দুনীর্তি রোধে করণীয় নিয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি এই বাজেটে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা, পুঁজি পাচার, হুন্ডি বন্ধসহ ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে এই বাজেটে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। কর ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, বৈষম্য, দুর্নীতি বজায় রেখে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। কর প্রশাসনে সুশাসন ও দক্ষতা বাড়ানো না গেলে কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট