অনলাইন ডেস্ক : সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গনতন্ত্র মঞ্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা শুক্রবার ময়মনসিংহ নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবে আলম জুয়েলের সভাপতিত্বে এই সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাস্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল -জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক। পরিচালনা করেন অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আমির উদ্দিন, মোসলেমা আখতার মিতু।
প্রতিনিধি সভায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুসাদ্দিক আসিফ, সদস্য সচিব, গণসংহতি আন্দোলন,ময়মনসিংহ, মোস্তাফিজুর রহমান রাজিব, আহবায়ক, গণসংহতি আন্দোলন, ময়মনসিংহ, কেরামত আলী, গণসংহতি আন্দোলন, জামালপুর জেলা, মোহাম্মদ সামসুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক,জেএসডি, ময়মনসিংহ, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান,জেএসডি, ময়মনসিংহ,মোহাম্মদ আমির উদ্দিন,সভাপতি, জেএসডি, জামালপুর, সাইফুল ইসলাম মোল্লা বকুল, সাধারণ সম্পাদক জেএসডি, কিশোরগঞ্জ, হাতেম রানা, সা. সম্পাদক, নাগরিক ঐক্য, ময়মনসিংহ, ইলোরা সুজাত, আহবায়ক, নাগরিক ঐক্য, জামালপুর, ফারুক হোসেন, সদস্য সচিব, নাগরিক ঐক্য, সরিষাবাড়ি, অধ্যাপক ছামিয়ুন বাছির, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ময়মনসিংহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসানুজ্জামান বাদল, আহবায়ক, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ময়মনসিংহ, সজীব সরকার, আহবায়ক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নেত্রকোনা, মো আহসান বিল্লাহ, আহবায়ক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জামালপুর জেলা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজিজ, বেনজির, আনারকাণ্ডে সরকার স্পষ্ট করেছে লুটপাটকারীরাই এই সরকারের ভিত্তি। এদের দিকে আঙুল তুলতে গেলে এই সরকারের দিকেই তুলতে হবে। গণতন্ত্র মঞ্চ জনগণকে নিয়ে দেশকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এদেরকে প্রতিহত করতে আগামীদিনে আরও তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।
বাজেট নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত বাজেটগুলোতে দেশের মানুষকে শোষণ করেছে সরকার। জনগণকে লুট করেছে। বর্তমান এই বাজেটও দেশের অর্থনীতিকে আরো বিপর্যয়ের দিকে নেবে।
দেশের উন্নয়ন বাজেটের প্রায় সমপরিমাণ হলো ঘাটতি বাজেট, অর্থাৎ ধার-দেনা করে ওরা এই উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছে। উন্নয়নের নামে আরেক দফা লুটপাট করবে। আরও ঋণের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। এক দিকে দিনের বোঝা অন্যদিকে ঋণ খেলাপি ও পাচারকারীদের আরো সুবিধা বাড়াবে।
যাদের আয়ে দেশ চলে সেই সাধারণ মানুষের আয়ের সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ কর আরোপ করেছে সরকার। অপরদিকে দুর্নীতিবাজদের কালো টাকা সাদা করতে কর আরোপ করেছে ১৫%।
এই দেশ এখন আর ভালো মানুষের জন্য নেই। জনগণ যে দেশের জন্য আন্দোলন করেছিলো তেমন দেশ পেতে হলে আবারও আন্দোলন করতে হবে আমাদের। গণতন্ত্র মঞ্চের এই আন্দোলনে সারা দেশের মানুষকে শরিক হতে উদাত্ত্ব আহ্বান করছি আমরা।
এই সরকারের আমলে সুবিধাবাদিরা একেকজন অনেকগুলো ব্যাংকের মালিক হয়েছে, লুটপাট আর পাচার করে অন্য দেশে শীর্ষ ধনী হয়েছে। এ দেশে আওয়ামী লীগ করতে হলে, তার একটি ওয়ার্ড কমিটির পদ পেতে হলে কয়েক লক্ষ টাকা দিতে হয়। এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ছাড়া আর কী করতে পারবে!
বাংলাদেশে এই মুহুর্তে সুবিচারের জন্য কোনো জায়গা নেই, সরকারি সেবা প্রদানের কেউ নেই। জনগণের টাকায় জবাবদিহিহীন সরকারের তাবেদার মানুষ বানাচ্ছে বর্তমান ব্যবস্থা। কাজেই জনগণকেই আজ এক হয়ে এই অন্যায়, রাষ্ট্র ধ্বংসের এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।