অনলাইন ডেস্ক : যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ভারতের এমপি প্রজওয়াল রেভানা দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। এরপর তিনি ২৭শে এপ্রিল ভারত ছাড়েন। শুক্রবার সকালে জার্মানি থেকে ব্যাঙ্গালোরে পৌঁছামাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির ঘনিষ্ঠ মিত্র জনতা দলের এমপি প্রজওয়াল রেভানা (৩৩)। কর্নাটকের হাসান আসন থেকে তিনি নির্বাচন করছেন। কিন্তু হাসান আসনে ভোট শুরুর অল্প আগেই নারীদের নির্যাতনের বহু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে কর্নাটকে। এতে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
ওইসব ভিডিওর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব ভিডিও কারসাজি করে বানানো হয়েছে।
ওই আসনে ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দেশ থেকে বাইরে চলে যান। তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে সিদ্ধারামাইয়ার নির্দেশে পুলিশের একটি বিশেষ টিম এই মামলার তদন্ত করছে। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৮ই মে বিশেষ আদালত রেভানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাকে গ্রেপ্তার করার কয়েকদিন আগে, রেভানা আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালত তা অগ্রাহ্য করে। দেশের বাইরে কয়েক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর ২৭শে মে রেভানা একটি ভিডিও রিলিজ দেন। তাতে বলেন, শুক্রবারের আগেই তিনি আদালতে উপস্থিত হবেন। তার দাদা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবে গৌরা তাকে ভারতে ফিরে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান। এরপরই তিনি ওই ভিডিও প্রকাশ করেন।