1. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপির নিন্দা - ধানের শীষ
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঈদ উদযাপন ঘিরে নানা কর্মসূচি বিএনপির পাঁচ ব্যাংক নিয়ে ইসলামী ধারার বড় ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নির্বাচনে প্রতিটি দল থেকে ২০ শতাংশ নারী প্রার্থী রাখার প্রস্তাব ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি, সহায়তাকারীরা পাচ্ছেন বিশেষ স্বীকৃতি বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থি : টিআইবি জুলাইয়ে সংস্কার, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত মহাদেবপুর উপজেলা কৃষকদলের আয়োজনে নওগাঁয় গ্রামীণ নারীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকীতে নওগাঁয় অসহায় শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ মেজর সিনহা হত্যা: আপিলে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি বহাল

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপির নিন্দা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল— বিএনপি। সোমবার রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিএনপির এক বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল রবিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে সাদ্দাম হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। এ সময় আরও একজনকে গুলি করে আহত করা হয়। কিছুদিন আগেও যশোরে সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দীন নিহত হয়েছেন। প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। সীমান্তে অব্যাহত এই নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী ডামি সরকার এই অবধি প্রতিবাদ তো দূরের কথা টু শব্দ পর্যন্ত করার সাহস দেখাতে পারেনি। পৃথিবীর সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হলেও শুধু নতজানু নীতির কারণে একতরফা হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার করতে পারছে না গণবিরোধী আওয়ামী সরকার। এর আগে ডামি সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী নানা সময়ে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার বিষয়ে যে মন্তব্যগুলো করেছেন তার মধ্যেই সরকারের দুরভিসন্ধি টের পাওয়া যায়। সীমান্ত হত্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন-‘এই বিষয়ে আমরা এখন কথা বলতে চাই না’। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন ‘এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা! এ নিয়ে আলোচনার কি আছে’ ? অন্য এক মন্ত্রী বলেছেন, ‘নো কমেন্টস’। কয়েক বছর আগে এক আওয়ামী মন্ত্রী বলেছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না! অর্থাৎ উল্লিখিত মন্ত্রীদের মন্তব্যে এটাই প্রমাণ করে যে, পরনির্ভরশীল সরকারের কাছে জনগণের জীবনের কোনো মূল্য নেই, এরা প্রতিবাদ করার সাহসও রাখে না। যারা নিজ দেশের জনগণের ওপর জুলুম চালায় তাদেরকে বিদেশি প্রভূর শরণাপন্ন হয়েই থাকতে হয়। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে জনগণের জীবনকে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলির নিশানা বানাতে কুণ্ঠিত হয় না। কেবল সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাংচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য একান্ত অনুগত হয়ে গোলামী করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক গুলি করে বাংলাদেশি কিশোর হত্যা ও এর পূর্বের সকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার যে হিড়িক চলছে তা বন্ধের জোর আহ্বান জানিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট