অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক সরকারকে প্রশ্ন করেছেন দুদক কি শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য? যারা হলফনামা দিয়েছেন এমপি হবার পূর্বে। দুদক চোখে কি কালো পতাকা দিয়ে রেখেছে? ২০১৮ সালের নিশি রাতের নির্বাচনের পরে কত লাখ কোটি টাকা রুজি করেছেন তা এমপিদের হলফনামায় ও পত্রিকায় লেখা হয়েছে। তাহলে দুদক শুধু কি বিএনপির জন্য? দুদক শুধু কি তারেক রহমানের জন্য? জেলখানা কি শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য?
শনিবার বিএনপির কুমিল্লা কান্দিরপাড়ের কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলের শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
এ সময় জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, এই নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো নির্বাচন মেনে নেয়নি। ২০১৪ সালে অটোপাস করেছেন। ২০১৮ সালে নিশি রাতে নির্বাচন করেছেন। ২০২৪ সালে ভাইয়ে ভাইয়ে নির্বাচন করে আবারও বাংলাদেশের মানুষকে লুটেপুটে খাবেন। আবারও বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা করবেন, মামলা করে জেলে দেবেন। এটা সহ্য করা হবে না। তাই ৩০ তারিখ যে সংসদ হবে বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আপনরা জনগণের দুই হাজার কোটি টাকা নষ্ট করেছেন। নির্বাচন হয়েছে? বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম শুনলাম ৬০০ জন এমপি। ৩০০ জন ১০ জানুয়ারি শপথ নিয়েছে। আর ৩০০ নাকি ৩০ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ আছে। ২০১৪ ও ’১৮ সালের নির্বাচনে মৃত ব্যক্তির ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালে নির্বাচিত হয়েছেন নাবালক শিশুর ভোটে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায় এ কালো পতাকা মিছিলে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারেক মুন্সী প্রমুখ।