1. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি - ধানের শীষ
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঈদ উদযাপন ঘিরে নানা কর্মসূচি বিএনপির পাঁচ ব্যাংক নিয়ে ইসলামী ধারার বড় ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নির্বাচনে প্রতিটি দল থেকে ২০ শতাংশ নারী প্রার্থী রাখার প্রস্তাব ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি, সহায়তাকারীরা পাচ্ছেন বিশেষ স্বীকৃতি বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থি : টিআইবি জুলাইয়ে সংস্কার, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত মহাদেবপুর উপজেলা কৃষকদলের আয়োজনে নওগাঁয় গ্রামীণ নারীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকীতে নওগাঁয় অসহায় শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ মেজর সিনহা হত্যা: আপিলে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি বহাল

নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৭২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, সার্বিকভাবে দেশে নির্বাচন ভালো হয়নি। আমরা এটি আশঙ্কা করেছিলাম। সরকার যেখানে চেয়েছে নির্বাচন নিরপেক্ষ করেছে, আবার যেখানে চেয়েছে তাদের প্রার্থীকে জিতিয়েছে। তাই এ কারণে নির্বাচনে কেউ আসতেও চায়নি। আন্তর্জাতিকভাবে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না বলতে পারছি না। তবে আমার মূল্যায়নে সরকারের নিয়ন্ত্রিত এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার কথা নয়। গতকাল সকালে রংপুর নগরের সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, নির্বাচনে আমরা আশানুরূপ ফল পাইনি। সরকার মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার প্রচার করেছে আমাদের আসন ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র শক্তিশালী প্রার্থী রেখে দেওয়া হয়েছে। তাদের দল বহিষ্কার করেনি বরং দলীয় লোকজন ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। সবার ধারণা আমরা আওয়ামী লীগের বি-টিম হয়ে কাজ করছি। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এটি প্রচার করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

জি এম কাদের বলেন, আমরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি না। কারণ এটি করার মতো আমাদের অবস্থা নেই। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল কি সঠিক হয়েছে এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখে মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ প্রশাসন, অস্ত্র-পেশিশক্তি ও অর্থের প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি। নির্বাচনের রাত থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হয়রানি-হামলা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ১০টা থেকে ২টার মধ্যে সব কেন্দ্র দখল করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এজেন্ট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মেরেছে। এ ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন নীরব ছিল। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আমরা সংসদে যাব না এমন সিদ্ধান্ত নিইনি। নির্বাচন বর্জন করলে আমাদের দলের সমস্যা সৃষ্টি হতো, দলীয় রাজনীতি রক্ষায় আঘাত আসতে পারে এমন পরিস্থিতি ছিল। তাই তাদের বিশ্বাস করে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচনে বিশ্বাস কিংবা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলাপ-আলোচনায় আসতে হয়। এ ছাড়া অন্য প্রক্রিয়া হলো যুদ্ধ করা, আমরা তো যুদ্ধের মাধ্যমে সমাধান করতে পারব না। বিশ্বাস করে এসেছি কিন্তু তারা বিশ্বাস রক্ষা করেনি। তাই আগামীতে তাদের অন্য কেউ বিশ্বাস করবে না। তাদের গ্রহণযোগ্যতার বিপক্ষে কাজ করবে।

জি এম কাদের বলেন, এখন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঘেরাও করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে; যা দুর্ভাগ্যজনক। দেশের রাজনীতিতে নতুন ধরনের ডাইমেনশন দেখা গেল; ভবিষ্যতে সরকারকে এর জন্য মাশুল দিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট