বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতি একটি গতিশীল ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শের উপস্থিতি রয়েছে। PR এবং জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দুটি ভিন্ন ধারা প্রতিনিধিত্ব করে।
পিআর: বাংলাদেশে “পিয়ার” নামে কোনো সুস্পষ্ট ও সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বা শক্তি জাতীয় পর্যায়ে ততটা পরিচিত নয়। এটি হতে পারে কোনো স্থানীয় পর্যায়ের নেতা বা গোষ্ঠীকে নির্দেশ করছে। তাই, এর রাজনৈতিক প্রভাব বা বাস্তবতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে মন্তব্য করা কঠিন।
জামাতে ইসলামী: বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামাতে ইসলামী একটি পরিচিত নাম, তবে এটি অত্যন্ত বিতর্কিত ও সংবেদনশীল ইস্যু।
· ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ জামাতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে এবং প্রমাণিত। যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শ ও মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।
· আইনি অবস্থান: পতিত শেখ হাসিনা সরকার জামাতে ইসলামীকে রাজনৈতিক থেকে নিষিদ্ধ করেছিল। দেশের উচ্চ আদালতের মাধ্যমে ও দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছিল।
বর্তমান বাস্তবতা: বর্তমানে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রথাগত রাজনৈতিক মাঠে (সংসদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ইত্যাদি) সক্রিয় নেই। তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা এখনা সীমিত এবং মূলত অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তাদের historical জোট (যেমন ২০০১-২০০৬ সময়কালে বিএনপি-নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অংশগ্রহণ) নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে।
বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির বর্তমান চিত্র:
বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতি একটি গতিশীল ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শের উপস্থিতি রয়েছে। PR এবং জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দুটি ভিন্ন ধারা প্রতিনিধিত্ব করে।
PR: বাংলাদেশে “PR” নামে কোনো সুস্পষ্ট ও সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বা শক্তি জাতীয় পর্যায়ে ততটা পরিচিত নয়। এটি হতে পারে কোনো স্থানীয় পর্যায়ের নেতা বা গোষ্ঠীকে নির্দেশ করছে। তাই, এর রাজনৈতিক প্রভাব বা বাস্তবতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে মন্তব্য করা কঠিন।
জামাতে ইসলামী: বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামাতে ইসলামী একটি পরিচিত নাম, তবে এটি অত্যন্ত বিতর্কিত ও সংবেদনশীল ইস্যু।
· বর্তমান বাস্তবতা: বর্তমানে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রথাগত রাজনৈতিক মাঠে (সংসদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ইত্যাদি) সক্রিয় নেই। তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা এখন সীমিত এবং মূলত অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে তাদের historical জোট (যেমন ২০০১-২০০৬ সময়কালে বিএনপি-নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অংশগ্রহণ) নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে।
বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির বর্তমান চিত্র:
বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতি মূলত দুটি প্রধান দল কেন্দ্রিক: ১.আওয়ামী লীগ: বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল এবং টানা কয়েকটি সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। ২.বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি): প্রধান বিরোধী দল।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কিছু বৈশিষ্ট্য:
· ক্ষমতাসীন ও বিরোধী জোট: রাজনীতি মূলত +জোট – পতিত মহাজোট (আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন) এবং বিরোধী জোট (বিএনপি নেতৃত্বাধীন) এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। যদিও এখন রাজনীতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত। জায়গা করে নিয়েছে এন সি পি ও অন্যান্য ছোট ছোট দলগুলো।
· নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্ক: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সংসদীয় নির্বাচনগুলোকে ঘিরে বিরোধী দলগুলি অনিয়ম ও একদেশীয় নির্বাচনের অভিযোগ তোলে, যা রাজনৈতিক সংলাপ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রকৃতিকে প্রভাবিত করেছে।
· অন্যান্য দলের ভূমিকা: জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ আরও কিছু ছোট দল রয়েছে, যারা প্রধানত মহাজোটের অংশ হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয়।
উপসংহার: সার্বিকভাবে,বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে পিয়ার নামক সত্তার কোনও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। অন্যদিকে, জামাতে ইসলামী একটি historical বিতর্কিত সত্তা হিসেবে থাকলেও বর্তমান আইনি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি প্রথাগত সংসদীয় রাজনীতির বাইরে। বর্তমান রাজনীতি প্রধান দল ও তাদের জোটকেন্দ্রিক, যেখানে নির্বাচনের বৈধতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক চলমান।
মোহাম্মদ এহসানুল হক ভূঁইয়া
প্রধান সম্পাদক, ধানের শীষ ডট নেট।
www.dhanershis.net