অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ২৮ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। ঈদের নামাজ আদায় শেষে কাট্টলি নিজ বাড়িতে এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
প্রায় ১৭ বছর পর নির্ভয়ে ঈদ উৎসবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা। অন্যান্য বছর পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার আতঙ্ক কিংবা রাজনৈতিক মামলার কারণে অনেকের ঈদ কেটেছে কারাগারে অথবা আত্মগোপনে। তবে এবার সেই ভয় ছাড়াই স্বস্তির ঈদ উদযাপন করেছেন তারা।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ঈদের দিন গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশে মেজবান দেন এবং পরদিন নগরীর সরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে নেতাকর্মীদের জন্য মেজবানের আয়োজন করেন।
নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল হাটহাজারী চট্টেশ্বরীর বাসায় নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম বাকলিয়ায় নিজ বাড়িতে, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ চান্দগাঁওয়ের বাসায় নেতাকর্মীদের জন্য মেজবানের আয়োজন করেন।
নগরের বাইরেও উপজেলাগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের আমেজ দেখা গেছে। রাউজানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার, ফটিকছড়িতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমাদের ঈদ স্বস্তিতে কাটেনি। এবার পরিবারের সঙ্গে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পেরে ভিন্ন রকম অনুভূতি হয়েছে।’