অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘এই মাফিয়া সরকারের কাছ থেকে কেউ রেহাই পায়নি। বিরোধী রাজনীতিবিদদের শীর্ষনেতা থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত মামলা-হামলায় কাহিল করার চেষ্টা করা হয়েছে। সমাজের সুশীল, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিকদেরও নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি আলেম-ওলামাদেরও স্থান হয়েছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। যারাই দেশের পক্ষে কথা বলেছে তাদেরকেই সরকারের তীব্র রোষানলে পড়তে হয়েছে। এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে দল-মত নির্বিশেষ সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক এই সভাপতি টুকু বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশকে সেক্যুলারিজম থেকে রক্ষা করতে সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে দল গঠন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন এ দেশের সিংহভাগ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বাদ দিয়ে, তাদের আবেগ অনুভূতিকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। কিন্তু এই সরকার সেই নীতি থেকে সরে গিয়ে পাশের একটি দেশের ফর্মুলায় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উপরেই প্রথম আঘাত হানে। তারা শাপলা চত্বরে অসংখ্য হেফাজত কর্মীকে আহত-নিহত করেছে। তাদের হাতে আলেম-ওলামার রক্ত লেগে আছে।’
টুকু বলেন, ‘আলেমদের বিরুদ্ধে গিয়ে নমরুদ-ফেরাউনও রক্ষা পায়নি। এই সরকারও পারবে না। এর জন্য দরকার ঐক্য। সমাজের প্রত্যেক স্তরে সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে আলেমদের ভূমিকা পালন করতে হবে সর্বাগ্রে। তাদের একটি বক্তব্য সাধারণ মানুষ খুব সম্মানের সঙ্গে নেয়। আর সেটাকেই কাজে লাগাতে হবে। জনগণকে দেশের জন্য, জনগণের জন্য, দেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। এছাড়াও ওলামা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
এদিকে ওলামা দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ছাত্রদলের সাবেক নেতা (কারাবন্দি) ইখতিয়ার কবিরের অসুস্থ ছেলেকে দেখতে পিজি হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি ইখতিয়ারের পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং তার ছেলের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।