অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যেকোনো সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও প্রকৌশলী ইশরাকসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের লজ্জিত হওয়ার কথা।’ এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাকসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিও জানান।
দুদু বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের আলোচিত নেতা, বাংলাদেশের মানুষও যার উপর নির্ভর করে। যিনি বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ দূর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এই কথাটি বাংলাদেশের মানুষ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ বিশ্বাস করে। অথচ তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সবকিছু প্রত্যাহার করে তার দেশে আসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যেকোনো সময় সরকারের পতন ঘটতে পারে। এই ফ্যাসিবাদের পতন হতে পারে। এত বড় লুণ্ঠনকারী, বেহায়া, স্বৈরাচারী সরকার দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো ক্ষমতায় আসেনি। পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করেছে।
দুদ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এমন এক লোক- বেনজীরকে পুলিশপ্রধান করেছিল, যিনি বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নাই যে লুটপাট করে নাই। যার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে সে এবং তার পরিবার বিদেশে যেতে পারবে না। তারপরও এ সরকার তাকে বিদেশে যেতে দিয়েছে। আজিজকে সেনাবাহিনীর প্রধান করেছিল সে সেনাবাহিনীকে কলুষিত করেছে। দেশের ১০ থেকে ১২টি ব্যাংক ধ্বংস করে ফেলেছে সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গায়ের জোরে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে যে ক্ষমতায় বসে আছে, সেই সরকার বৈধ সরকার নয়। সেই সরকারকে অতি তাড়াতাড়ি অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং কেয়ারটেকার এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেই সংকটের হাত থেকে মুক্তির কোন পথ নাই।
হরিজনদের সম্পর্কে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যারা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার করে। সেই হরিজনদের এই সরকার উচ্ছেদ করেছে। এই পদক্ষেপ থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।
সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং সব রাজবন্দির যদি মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে যে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পতন হবে, সেই পতন হবে খুবই নির্মম। সেই পতনের পরে বিশ্বের কোনো দেশে আপনারা আশ্রয় পাবেন না। সেজন্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দিন এবং সংকট উত্তরণের জন্য পদত্যাগ করুন।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, কৃষকদলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।