অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না। একই সঙ্গে জিয়াউর রহমানের অবদানকেও অস্বীকার করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের জন্য যার যে অবদান সেটি স্বীকার করে নেওয়াই হচ্ছে মহত্তের লক্ষণ, সেটিই করা উচিত।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। জিয়ার আহ্বানেই দ্বিধাবিভক্ত জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা সরকার মুছে ফেলতে চায়। আজকে জিয়াউর রহমানের অবদানকে যারা অস্বীকার করে তারা স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে। কারণ তিনি স্বাধীনতার ঘোষক ও যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একজন মানুষকে মহিমান্বিত করার জন্য, একটা দলকে মহিমান্বিত করার জন্য পুরো ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না। কিন্তু কী করে অস্বীকার করা যাবে সেই মানুষটির (জিয়াউর রহমান) অবদানকে যে মানুষটির আহ্বানে-ঘোষণায় আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। যারা এটা করতে চায় তাদের যে ক্ষুদ্রতা, তাদের যে রাজনৈতিক সংকীর্ণতা সেটাই শুধুমাত্র প্রমাণিত হয়। তারা ইচ্ছা করলেই জিয়াউর রহমানের নামকে মুছে ফেলতে পারবে না। সত্যকে কখনো জোর করে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। বিকৃত করা যায় না ইতিহাসকে। ইতিহাসে সত্য বেরিয়ে আসেই। জিয়াউর রহমানের সেই নাম ও ঘোষণা সেভাবেই বেরিয়ে এসেছে এবং তা চাপা দিয়ে রাখা যাবে না। ৪৩ বছর পরেও জিয়াউর রহমানকে এদেশের মানুষ ভুলে নাই।
বিএনপি মহাসচিব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। এই সময়টা তৈরি করেছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, জোর করে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এই সরকার ভোট না দেওয়ার কারণ হলো, ভোট দিলে তারা দশটার বেশি আসন পাবে না। এই সরকার বলে আমরা নাকি ভালো জিনিস দেখতে পারি না। ভালো জিনিস হচ্ছে তোমাদের (আ.লীগ সরকার) জন্য। তোমরা মেগা প্রজেক্টের নাম দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছো। আজকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করা হয়েছে। তারা চুরি করতে করতে এমন অবস্থা তৈরি করেছে এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।
বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের ইজ্জত ও সম্মান কোথায়- এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন সেনাবাহিনীর অবস্থা কী? বাহিনী হিসেবে তার ইজ্জত ও সম্মান কোথায় থাকে? যখন তার সাবেক সেনাপ্রধানকে স্যাংশন দেয়া হয়। সেই পুলিশ বাহিনীর মান ইজ্জত কোথায় থাকে? যখন তার সাবেক প্রধান আইজিপিকে পালিয়ে যেতে হয় দেশ থেকে। অর্থাৎ এই সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. শাহিদা রফিক প্রমুখ।