1. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
বেনজীরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ, জমির দলিল জব্দ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ - ধানের শীষ
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সমঝোতায় পৌঁছাতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন জামায়াত দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে- ডা. শফিকুর রহমান জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বিএনপির সমাবেশ সফল করতে যাত্রাবাড়ীতে প্রস্তুতি সভা বিশেষ অভিযানে সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১৬২০ খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থায় সরকারকে ধন্যবাদ বিএনপির প্রকাশ্যে গুলির নির্দেশ দেন হাসিনা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামার কথা ভাবছে বিএনপি পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা মাইলস্টোন ট্রাজেডি : আহতদের সেবায় ঢাকা মেডিকেলে ছাত্রদলের ‘ননস্টপ সার্ভিস’ সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেফতার

বেনজীরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ, জমির দলিল জব্দ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের জন্য দুদক সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশের অনুলিপি বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে এসেছে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন।

ওই আবেদনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী বেনজীর আহমেদ এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার আর্জি জানান অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, দুদকের আবেদনে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জীশান মির্জা ও মেয়েদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রয় ও হস্তান্তর করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। অনুসন্ধান বা মামলা নিষ্পত্তির আগে বর্ণিত সম্পত্তিগুলো হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির কারণ রয়েছে।

পরে এ বিষয়ে আদেশ দেন আদালত। আদেশে বিচারক বলেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তার আবেদন ও অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় আর্জি মঞ্জুরযোগ্য মর্মে প্রতীয়মান হয়। বর্ণিত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা না হলে, তা হস্তান্তর হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। ক্রোক করা স্থাবর সম্পত্তিগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে পৃথক দলিলে তার মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা ১৩ একর ৯১ দশমিক ৪৭ শতাংশ জমি রয়েছে। একই জেলায় বেনজীর আহমেদের নামে থাকা ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি। স্ত্রী মিসেস জীশান মীর্জার নামে থাকা ৭৭ শতাংশ এবং তিন একর ৬১ দশমিক ৪২ শতাংশ জমি। জীশান মীর্জার প্রতিষ্ঠান সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের নামে কেনা দুই একর ৭১ শতাংশ এবং ৪৭ শতাংশ জমি। বেনজীর আহমেদের নামে কেনা ৫৫ শতাংশ এবং জীশান মীর্জার নামে কেনা ছয় একর ৫৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ জমি রয়েছে। জীশান মীর্জার সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের নামে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে ৭১ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং বেনজীর আহমেদের নামে থাকা এক একর ৮৫ শতাংশ, এক একর ১৯ শতাংশ, ৪৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ৩৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ, তিন একর ৩১ শতাংশ, ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৫৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি। স্ত্রী জীশান মীর্জার সাভানা ফার্ম প্রোডাক্টস-এর নামে কেনা ৪২ শতাংশ, ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ৪১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৭০ শতাংশ, ৫৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, তিন একর ৮১ দশমিক পাঁচ শতাংশ, ৩৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, ৮০ দশমিক ৩০ শতাংশ, সাত একর ৫৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, ৫০ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, চার একর ৭৬ শতাংশ, ৪৫ শতাংশ, ৯৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৩২ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৯৯ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৮৪ শতাংশ, এক একর, জীশান মির্জার সাভানা পার্ক রিসোর্ট অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের নামে বিভিন্ন দাগ ও মৌজায় কেনা এক একর ৬৭ শতাংশ, ৩৬ শতাংশ, এক একর ৮৭ শতাংশ, ২৪ শতাংশ, এক একর ৫৪ শতাংশ, এক একর ৫১ শতাংশ, এক একর, ৫৬ শতাংশ, ২৭ শতাংশ, ৮৭ শতাংশ, ৬৬ শতাংশ, ৬১ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৬১ দশমিক ২৫ শতাংশ, ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ। জীশান মীর্জার সাভানা ফার্ম প্রোডাক্টের নামে বিভিন্ন দাগ ও মৌজায় এক একর ১৯ শতাংশ, ৯৬ শতাংশ, সাভানা এগ্রোর নামে কেনা ৯৭ শতাংশ, এক একর ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এক একর ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, তিন একর ১৪ শতাংশ, তিন একর ৮২, তিন একর ৪৭ শতাংশ, চার একর ৩ শতাংশ, ৯২ শতাংশ, ৮০ শতাংশ। সাভানা ন্যাচারাল পার্ক প্রাইভেট লিমিটেডের নামে বিভিন্ন দাগ ও মৌজায় ২০ শতাংশ, এক একর ৮৬ শতাংশ, এক একর ৯৯ শতাংশ। গোপালগঞ্জ টুঙ্গীপাড়ায় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন দাগ ও মৌজায় ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তিন মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর, জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং আরু রুহ মিজান স্নেহার ১৩ শতাংশ, ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। কোটালীপাড়ায় দুই একর ৮ শতাংশ, চার একর ৪২ শতাংশ, ৯২ শতাংশ, দুই একর ১৮ শতাংশ, ২০ শতাংশ, এক একর ৬৯ শতাংশ। কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ২২ শতাংশ, ৪৪ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ, ৪৫ শতাংশ, ২৯ শতাংশ। ইনানিতে তিন মেয়ের নামে ১৫ শতাংশ, স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে ১০ শতাংশ, ৪০ শতাংশ, ৭ শতাংশ। আদেশে বলা হয়েছে, আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় ক্রোক করা এসব সম্পদ কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তর কিংবা বিনিময় করা যাবে না।

ফ্রিজ করা অস্থাবর সম্পদ : ফ্রিজ করা বেনজীর আহমেদের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, সিটি ব্যাংকে বিভিন্ন নামে তিনটি অ্যাকাউন্ট, কমিউনিটি ব্যাংকে বেনজীর, তার স্ত্রী ও মেয়েদের নামে চারটি অ্যাকাউন্ট, আইএফআইসি ব্যাংকে স্ত্রীর নামে দুটি অ্যাকাউন্ট, প্রিমিয়ার ব্যাংকে স্ত্রী ও মেয়েদের নামে তিনটি অ্যাকাউন্ট, ইউনিয়ন ব্যাংকে দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে দুটি অ্যাকাউন্ট, সাউথ ইস্ট ব্যাংকে স্ত্রীর নামে দুটি অ্যাকাউন্ট, ইসলামী ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানের নামে একটি অ্যাকাউন্ট, এবি ব্যাংকে স্ত্রীর নামে একটি অ্যাকাউন্ট, প্রাইম ব্যাংকে বেনজীর আহমেদের নামে একটি অ্যাকাউন্ট, সিটি ব্যাংকে বেনজীরের নামে ইস্যু করা চারটি ক্রেডিট কার্ড, সোনালী ব্যাংকে চারটি অ্যাকাউন্ট ও সঞ্চয়পত্র, আএফআইসি সিকিউরিটিজ ও ড্রাগন সিকিউরিটিজে বেনজীরের দুটি বিও অ্যাকাউন্ট, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজে স্ত্রী ও মেয়ের নামে চারটি বিও অ্যাকাউন্ট। আদেশে বলা হয়েছে- ফ্রিজ করা এসব অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া যাবে। কিন্তু কোনো অবস্থায়ই উত্তোলন করা যাবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট