অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, সারাদেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। বাজার সিন্ডিকেট করে সরকার দলীয় ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যে আগুন ধরাচ্ছে। সরকারের এদিকে কোনো নজর নেই। নজর শুধু বিএনপির দিকে। কারণ, দুর্নীতিবাজরা তাদের রক্ষা করবে বলে মনে করে।

তিনি বলেন, বিএনপির একটি সমাবেশ ডাকলেই ওবায়দুল কাদেরের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। অথচ ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে, শেয়ার বাজার লুট হয়ে যাচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে এতে তাদের কোনো মাথা নেই।

রবিবার কারাবন্দি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও সাবেক কমিশনার মকবুল ইসলাম খান টিপু, গেন্ডারিয়া থানা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ সালেহ, ৪৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ময়নার বাসভবনে গিয়ে পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সালাম বলেন, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। আর জনতাই অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটাবে। তাই সরকার দুর্নীতি দমন না করে বিএনপি দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এরপর ৪৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এর অসুস্থ মাকে দেখতে ধোলাইখাল যান সালাম।

সালাম বলেন, অতীতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেরাই নৈরাজ্য, নাশকতা, সন্ত্রাস, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করে তার দায় আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরে সব গোমর দেশের জনগণ এবং বিদেশিদের সামনে ফাঁস হয়ে গেছে।

বিএনপি নেতা সালাম বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেবরা নানা কারসাজি করে যাচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের প্রাক্কালে ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছিলেন, বিএনপি সমাবেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হেফাজতের পরিণতি হবে, অর্থাৎ হেফাজতের আলেম-ওলামাদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেমন ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনি পরিণতি করবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। আর দেশবাসী সেটি স্বচক্ষে দেখলো যে কি ভয়ংকর পরিণতি ঘটিয়েছিল ওবায়দুল কাদের এবং তাদের সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, ওয়ারী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক কমিশনার হাজী লিয়াকত আলী, গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালি মামুনুর রশীদ অপু, ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মো. মাহবুবুর রহমান, ৪৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মোল্লা, ৪৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসলেম উদ্দীন মুসা ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।