1. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের - ধানের শীষ
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
‘লন্ডন বৈঠক দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস আনবে’ টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক : ফখরুল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কমনওয়েলথ মহাসচিবের সাক্ষাৎ ঈদ উদযাপন ঘিরে নানা কর্মসূচি বিএনপির পাঁচ ব্যাংক নিয়ে ইসলামী ধারার বড় ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নির্বাচনে প্রতিটি দল থেকে ২০ শতাংশ নারী প্রার্থী রাখার প্রস্তাব ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি, সহায়তাকারীরা পাচ্ছেন বিশেষ স্বীকৃতি বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থি : টিআইবি জুলাইয়ে সংস্কার, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরের প্রতিমায় আগুন লাগানোকে কেন্দ্র করে সহোদর দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জোট নেতারা।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, ‘শুধু সন্দেহের বশে শ্রমিকদের ওপর এই নিষ্ঠুর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনা সাম্প্রদায়িক উসকানির শামিল।’

ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে জোটের নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দেশ। এ দেশের অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বৈচিত্র্য থাকলেও আবহমানকাল থেকেই নিজেদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। কিন্তু ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার এক মন্দিরে আগুনের ঘটনায় নিছক সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নৃশংসভাবে দুই মুসলিম শ্রমিককে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করে। এমন জঘন্যতম ঘটনায় আমরা হতবাক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

জোট নেতারা বলেন, ‘মধুখালী থানার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালীমন্দিরে আগুন লাগে। কীভাবে এর সূত্রপাত হয়, তা এখনো জানা যায়নি। সন্ধ্যায় মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেখানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তখন মন্দিরের পাশের বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সাতজন মুসলিম শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু কেউ তাদের আগুন দিতে দেখেনি বা আগুন দেওয়ার হীন উদ্দেশ্য থাকতে পারে—এমন সন্দেহ করারও কোনো যৌক্তিক কারণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবু শুধু সন্দেহের বশে ওই শ্রমিকদের ওপর নিষ্ঠুর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনা স্পষ্টতর সাম্প্রদায়িক উসকানির শামিল।’

বিবৃতিতে ১২ দলের নেতারা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

তারা বলেন, ‘সরকার যদি এ ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, আর এর ফলে পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।’

বিবৃতিদাতারা হলেন- জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেমসহ জোটের অন্যান্য নেতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট