অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য আজ লড়াই করছি এই গণতন্ত্র বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা করছিলেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে গণতন্ত্র লালিত হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার হাতে।
তিনি বলেন, এই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি তিলে তিলে ভুগছেন। আমরা তার জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং আগামী দিনে যাতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে, ঈমানি দ্বায়িত্ব নিয়ে এই সরকারকে পতন করতে সক্ষম হয়।
বুধবার বিকালে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গয়েশ্বর তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আহ্বান করেন, আহ্বান থেকে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। সেদিন জিয়াউর রহমানের আসার কথা ছিল না। যাদের আসার কথা ছিল, জনগণকে পথ দেখানোর কথা ছিল তারা আসেনি।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বার ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষ ও সেনাবাহিনী একত্রিত হয়ে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে দেশের দায়িত্ব অর্পণ করেন। জিয়াউর রহমানের ৭ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থান করে ক্ষমতায় আসেন নাই। স্বাধীনতা ও সর্বপ্রথম রক্ষার্থে সাধারণ মানুষের আহবানে তিনি এসেছিলেন। যে জনগণ জিয়াউর রহমান কে রাজনীতিতে এনেছিলেন সেই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে তিনি সক্রিয় ছিলেন।
‘গণতন্ত্রকে রক্ষা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তার ওই প্রথম অঙ্গ সংগঠন হিসেবে যুবদল প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন বিপথগামী যুবকদের উৎপাদন মুখী সুস্থ ধারার রাজনৈতিক করার জন্য সংঘটিত করেছিল’—যোগ করেন তিনি।
গয়েশ্বরের বিশ্বাস জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত যুবদল কোনো কলঙ্ক অর্জন করবে না। বলেন, যুবদল দেশকে কিছু দেবে, দেশের মানুষকে কিছু দেবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা দেখতে চাই। পাশাপাশি তাদের ভূমিকা যত শানিত হবে, ততো তাড়াতাড়ি আমাদের নেত্রী মুক্তি লাভ করবেন। তত তাড়াতাড়ি সরকারের পতন হবে। ততো তাড়াতাড়ি জনগণ মুক্তি লাভ করবে এবং জনগণ তারের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।
ইফতার মাহফিলের শুরুতে সদ্য কারামুক্ত নেতৃবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা জানায় যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়াও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীর পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা করা হয়।
এতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, জয়নুল আবেদীন ফারুক, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, যুবদল নেতা মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির হোসেন নান্নু, জাকির সিদ্দিকী, রুহুল আমীন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, গিয়াস উদ্দিন মামুন প্রমুখ।