1. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০ - ধানের শীষ
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঈদ উদযাপন ঘিরে নানা কর্মসূচি বিএনপির পাঁচ ব্যাংক নিয়ে ইসলামী ধারার বড় ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নির্বাচনে প্রতিটি দল থেকে ২০ শতাংশ নারী প্রার্থী রাখার প্রস্তাব ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি, সহায়তাকারীরা পাচ্ছেন বিশেষ স্বীকৃতি বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থি : টিআইবি জুলাইয়ে সংস্কার, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত মহাদেবপুর উপজেলা কৃষকদলের আয়োজনে নওগাঁয় গ্রামীণ নারীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকীতে নওগাঁয় অসহায় শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ মেজর সিনহা হত্যা: আপিলে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি বহাল

গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রতিবাদে সংসদ অভিমুখে গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে বিজয়নগর আল রাজি ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ‍পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি কিন্তু পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে হামলা করছে। আজকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ হামলা করেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা চাইলে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিল করতে পারি, এতে আমাদের হয়তো কয়েকজনকে আটক করবে। কিন্তু এতে লাভ কার? ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ মারা গেলে, এতিম হলো তার সন্তান, বিধবা হলো তার স্ত্রী, লাভ হলো সরকারের। আজকে একটা অবৈধ সংসদের অধিবেশন বসেছে। এই সংসদে কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা অবৈধভাবে সংসদে বসেছে। আজকে এই সরকার দৈত্য দানবের সমস্ত জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আজকে ড. ইউনুসের মতো সম্মানি লোককে কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।

নুর বলেন, যারা আমাদের ওপর হামলা করছে, তাদের কিন্তু বিচার হবে। আমরা মরে গেলেও আমাদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে, আমাদের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকবে, তারা একদিন বিচার করবে। অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলন করছেন আলাদা আলাদা ভাবে, তাদের বলবো একসাথে নামুন। আলাদাভাবে নেমে সরকার পতন করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ প্রথমে ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়।

গণঅধিকার পরিষদে একাংশের এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। ৭১ এর পর বাকশাল কায়েম করেছিলেন, জনগণ মেনে নেয়নি। এবারও জনগণ মেনে নেয়নি। তারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। প্রেক্ষাপট তৈরি হলে, জনগণ রাজপথে নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে গদি থেকে নামাবে।

দলের সাধারণ সম্পাদক মো রাশেদ খান বলেন, সংসদ অভিমুখে আমাদের কালো পতাকা মিছিল ছিলো, পুলিশ আমাদের মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে। আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে পুলিশ উল্টো অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। আমাদের আন্দোলন তো পুলিশের বিরুদ্ধে না। আজকে অবৈধ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছে, আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনেই প্রতিবাদ করছি। কিন্তু এই অবৈধ সরকার কোনো রীতিনীতির ধার ধারে না। এই সরকারের কাছে ক্ষমতাই মূখ্য বিষয়। কিন্তু আইয়ূব-ইয়াহিয়া কেউই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি, এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আজকে আমরা রক্তাক্ত হয়েও রাজপথ ছেড়ে দেইনি, রক্তাক্ত হয়েও প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছি। উত্তরার প্রোগ্রাম থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে আটক করার পর ছেড়ে দিয়েছে, কয়েকজন মহিলা নেত্রীকে আটক করে নিয়ে গেছে। গ্রেপ্তার যদি হতেই হয়, আমাদের রাজপথ থেকেই গ্রেপ্তার হতে হবে। জনগণকে বলবো, রাজপথে নেমে আসুন, সরকারের পতন অনিবার্য।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান,জেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, উপস্থিত ছিলেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম,আব্দুজ জাহের, ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান,ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা:জাফর মাহমুদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ নেতাকর্মীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট