দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে ভোটদান থেকে বিরত থেকে জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। একতরফা নির্বাচন বাতিল করে আমরা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, নির্বাচনের বিভিন্ন পর্যবেক্ষকদের তথ্য মতে, সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রকৃত ভোটারের উপস্থিতি নির্বাচন কমিশন ঘোষিত উপস্থিতির চেয়ে অনেক কম ছিল। কিছু কিছু কেন্দ্রে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। এই নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে কার্যত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগই ছিল না। আওয়ামী লীগ নিজ দলের লোকদের দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বানিয়ে একটি ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, যা জাতির সাথে তামাশার শামিল। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ কর্তৃক একের পর এক ত্রুটিপূর্ণ ও একতরফা নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক ধারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাজনৈতিক মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে সরকারের এমন কর্মকাণ্ড দেশে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে দেশকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমিরে মজলিস মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব-বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, হাজী নুর হোসেন, আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গণ প্রত্যাখ্যাত ডামি নির্বাচন বাতিল করে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার(১২ জানুয়ারি) বাদ জুম্মা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট হতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।