1. onemediabd@gmail.com : admin2 :
  2. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মহেন্দ্রক্ষন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি কি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে? - ধানের শীষ
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
হামলা-হেনস্তায় মনোবল হারাচ্ছে পুলিশ বাহিনী নানা অনিয়মে বিএনপির সাত হাজার নেতা-কর্মী বহিষ্কার: মামুন মাহমুদ রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মহেন্দ্রক্ষন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি কি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে? ৩১৫ বি৩ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এর বাৎসরিক গ্রান্ড র‍্যালি অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর এবং “ঝুলে” যাওয়া ফেব্রুয়ারির কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ; ৩৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান কোন পদ্ধতিতে ভোট হবে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ : ডা. জাহিদ

ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মহেন্দ্রক্ষন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি কি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে?

মোহাম্মদ এহছানুল হক ভূঁইয়া
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ এহছানুল হক ভূঁইয়া

ঘটনাটি কী এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ
জাতীয় ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আজ বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা—এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর থাকার কথা রয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা, ঐকমত্য কমিশন সদস্যরা অনুষ্ঠানটি অন্যায়ভাবে দেখছেন। অনেক সংবাদসংস্থা রিপোর্ট করেছে যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার হাতে হাসপাতালে আমন্ত্রণপত্রও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট — ‘জুলাই সনদ’ ও খালেদা জিয়ার ভূমিকা
জুলাই সনদটি একটি জাতীয় সনদ—জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যমত্য তৈরির প্রস্তাবসমূহ সংগ্রহ করে আইনগত ও রাজনৈতিক মঞ্জুরি নেয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির মুখ্য নেতা এবং সংস্কারের/বিরোধিতার দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত। তার রাজনৈতিক জীবন ও সাম্প্রতিক সময়ের আইনগত লড়াই—মামলার মুক্তি ও দেশে প্রত্যাবর্তন—সবই এই মুহূর্তের রাজনৈতিক পটভূমি নির্ধারণ করে। (খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাস ও সাম্প্রতিক অবস্থার ব্যাখ্যা দেখুন)।

কীভাবে তার উপস্থিতি জাতিকে উজ্জীবিত করতে পারে — সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব
১) প্রতীকের শক্তি ও ঐতিহ্য: খালেদা জিয়ার উপস্থিতি অনেক বামিল ও মধ্যবয়সী সমর্থকের জন্য প্রতীকী স্বীকৃতি—একজন বর্ষীয়ান নেত্রীর জাতীয় সংবেদনা জাতীয় ঐক্যের বার্তা পাঠাতে পারে। রাজনৈতিক জীবনে তার দীর্ঘকালীন ভূমিকা অনেক মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতার সূত্রী।
২) নিরাপত্তাহীনতার সময়ে ঐক্যের সংকেত: যে কোনো দেশের রাজনীতিতে সর্বাধিক কার্যকর বার্তা হল ‘অন্তর্ভুক্তি’—প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় স্বার্থের কথা বলা গেলে জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার হতে পারে। জুন্তা ও বিতর্কিত সময়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানে সব পক্ষের অংশগ্রহণ শান্তিপূর্ণ রাজনীতির অনুকরণ হতে পারে। (জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আয়োজন ও অংশগ্রহণ নিয়ে সংবাদগুলোও এ বিষয়ের নির্দেশ দেয়)।
৩) নেতৃত্বের মনোবল বাড়ানো: ব্যক্তিগত অসুস্থতা বা আইনি ঝামেলার পরও খালেদা যদি পারস্পরিক সম্মান ও সংলাপের মঞ্চে উপস্থিত হন, তা রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং জনমতের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।

কেন উপস্থিতি উদ্দীপ্ত করবে এমনটি নিশ্চিত নয় — ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা
১) রাজনৈতিক বিভাজন ও অনাস্থা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিশীলতা বহুগুণ বিভক্ত—কেউ খালেদার উপস্থিতিকে ঐক্য বা জাতীয় ঐতিহ্যের ধ্যান-ধারণা হিসেবে দেখবেন, আবার অনেকে এটিকে কেবল ক্ষমতার দাবির অংশ মনে করতে পারেন। এমন বিভাজন থাকলে অনুষ্ঠানের সীমানা ‘উজ্জীবক’ থেকে ‘বৈপরীত্যপূর্ণ’ হতে পারে।
২) আইনি ও নীতিগত গ্যারান্টির অনিশ্চয়তা: কিছু দল বা অংশীদার সনদের আইনি ভিত্তি/স্বীকৃতি না থাকলে স্বাক্ষর করা মানে কেবল আনুষ্ঠানিকতা বলে সতর্ক করেছে—এ ধরনের বক্তব্য অনুষ্ঠানকে জনসমর্থনে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই কেবল ছবি তোলাই যথেষ্ট নয়; বাস্তবে আইনগত ও জনতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতির দৃঢ় নিশ্চয়তা প্রয়োজন।
৩) স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিবেচনা: বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্য—যদি তিনি হাসপাতালে থাকেন বা শারীরিকভাবে দুর্বল হন—তবে সশরীরে উপস্থিতি বিপজ্জনক বা নাটকীয় চাপে ভরা হতে পারে; এ ক্ষেত্রে ‘উজ্জীবক’ ফলাফল সীমিত হতে পারে। সংবাদে হাসপাতাল-দৃশ্য ও ভ্রমণের খবরে এটাও সামনে এসেছে।

কী শর্তে তার উপস্থিতি সত্যিই জাতিকে উজ্জীবিত করবে — বাস্তবসম্মত শর্তাবলী
১) স্বচ্ছতা ও আইনি ভিত্তি: সনদে যে প্রতিশ্রুতি থাকবে তা স্পষ্ট আইনগত রূপে লিপিবদ্ধ এবং প্রয়োগযোগ্য হওয়া দরকার বলে অনেকেই মনে করেন —কেবল আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর হলে সেটা তাত্ক্ষণিক কোরেজার প্রভাব ফেলবে না। (দলের আপত্তি এবং আইনি নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে সংবাদ আছে)।
২) বহুপাক্ষিক অংশগ্রহণ ও সমন্বয়: যদি প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক-সমিতি—রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরাও—উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করে, সেটি একটি জাতীয় ঐক্যের সূচনা করতে পারে।
৩) নাগরিক-শিক্ষা ও মিডিয়া কভারেজ: মিডিয়া ও সুশিক্ষিত নাগরিক আলোচনার মাধ্যমে সনদের বিষয়বস্তু জনগণের কাছে পৌঁছালে এটি একটি ‘ উজ্জীবনী’ শক্তি থেকে অংশগ্রহণমূলক সংস্কারে রূপ নেবে।
৪) নেতৃত্বের প্রমাণিত ইচ্ছে: কেবল উপস্থিতি নয়—নেতাদের বক্তব্য, শর্তাবলীর প্রতি অনুগত্য এবং বাস্তবনিষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণের ইচ্ছাই জনগণের আস্থা জাগাবে।

সম্ভাব্য ফলাফলসমূহ (স্বল্প-মধ্য-দৈর্ঘ্য মেয়াদ)
স্বল্প মেয়াদে: উৎসবমুখর মিডিয়া কভারেজ, সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা এবং রাজনৈতিক তণাবশতা সাময়িকভাবে বৃদ্ধি/হ্রাস—সবই সম্ভব।
মধ্য মেয়াদে: যদি সনদের প্রতিশ্রুতিগুলো আইনগতভাবে শক্ত হয় এবং বাস্তবায়নশীল পরিকল্পনা থাকে, তবে তা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে—অন্যথায় কেবল প্রতীকী মাইলফলকেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

সুপারিশ (একটি বাস্তবসম্মত পথ)
১) আইনি রূপরেখা আগে নিশ্চিত করুন: সনদের ভাষ্যগুলোর আইনগত বাস্তবায়নযোগ্যতা আগেই নিশ্চিত করতে হবে—নইলে স্বীকৃতি ও কার্যকারিতা দুইই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২) সম্পৃক্ততা বাড়ান: বিএনপি–সহ সব বড় রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠনকে অংশ নেওয়ার আবেদন করুন—অন্তর্ভুক্তি ছাড়া ঐক্য অলঙ্কারই থেকে যাবে।
৩) স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা আপাতত অগ্রাধিকার দিন: যদি বয়স বা স্বাস্থ্যজনিত কারণে নেত্রীর সরাসরি উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়, ভার্চুয়াল বক্তব্য বিবেচনা করা যুক্তিযুক্ত।
৪) গণমাধ্যম ও সিভিল সোসাইটি কে নিয়োজিত করুন: জনগণের কাছে সনদের লক্ষ্য, বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সময়রেখা পৌঁছে দিন—এতে আস্থার জন্ম হবে।

শেষাংশ:
বেগম খালেদা জিয়ার জাতীয় সংসদ দক্ষিণ প্লাজায় উপস্থিতি—যদি সেটি সুস্পষ্ট আইনি দায়িত্ব এবং বহুদলীয় অংশগ্রহণের সঙ্গে মিলিত হয়—তবে তা সত্যিই জাতিকে এক উৎসাহিত ঐক্যের বার্তা দিতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র প্রতীকী উপস্থিতি বা প্রেস-ফটোগ্রাফির প্রশস্ততায় তা থামলে জনগণের আশা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সফলভাবে জাতিকে উজ্জীবিত করতে হলে সনদকে কেবল “ঘোষণা” নয়, বাস্তব ব্যবহারযোগ্য কর্মপরিকল্পনা ও অঙ্গীকারে রূপান্তরিত করতে হবে। সংবাদ প্রতিবেদনগুলো অনুষ্ঠানের আহ্বান, আমন্ত্রণ ও অংশগ্রহণ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখাচ্ছে—সেটি এই প্রয়াসে সতর্কতা হিসেবে কাজ করে।

— মোহাম্মদ এহছানুল হক ভূঁইয়া
প্রধান সম্পাদক, ধানের শীষ ডট নেট
www.dhanershis.net

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট