1. onemediabd@gmail.com : admin2 :
  2. info@www.dhanershis.net : ধানের শীষ :
অপহরণ এক বছরে দ্বিগুণ - ধানের শীষ
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
হামলা-হেনস্তায় মনোবল হারাচ্ছে পুলিশ বাহিনী নানা অনিয়মে বিএনপির সাত হাজার নেতা-কর্মী বহিষ্কার: মামুন মাহমুদ রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মহেন্দ্রক্ষন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি কি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে? ৩১৫ বি৩ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এর বাৎসরিক গ্রান্ড র‍্যালি অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর এবং “ঝুলে” যাওয়া ফেব্রুয়ারির কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ; ৩৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান কোন পদ্ধতিতে ভোট হবে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ : ডা. জাহিদ

অপহরণ এক বছরে দ্বিগুণ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : দেশে অপহরণসংক্রান্ত অপরাধের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। গত এক বছরে এই হার দ্বিগুণের বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে ৭১৫ জন। গত বছর এই একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৩৪০।

অপহরণের দিক থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এই এক মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে ১০৯ জন। আর গত আট মাসে গড়ে প্রতিদিন তিনজনের বেশি মানুষ অপহরণের শিকার হয়েছে। এই চিত্র আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতির ইঙ্গিত দেয়।

বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের প্রকাশিত মাসিক অপরাধ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পর্যবেক্ষণে সংখ্যাগত কিছু পার্থক্য থাকলেও অপরাধ বৃদ্ধির মোটামুটি একই চিত্র ফুটে উঠেছে।

অপহরণ এক বছরে দ্বিগুণপুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এইচ এম শাহাদাত হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে অপরাধের তথ্য প্রকাশ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমসাময়িক অপরাধের ‘ট্রেন্ড’ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কখনো কোনো অপরাধ বৃদ্ধি পায়, আবার কখনো কমে। যে অপরাধগুলো বৃদ্ধি পায়, সে বিষয়ে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করি।”

২০২৪ সালে মোট অপহরণের শিকার হয়েছিল ৬৪২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৫১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৩ জন, মার্চে ৫১ জন, এপ্রিলে ৫৫ জন, মেতে ৫০ জন, জুনে ৩১ জন, জুলাইয়ে ৩২ জন, আগস্টে ২৭ জন, সেপ্টেম্বরে ৬৫ জন, অক্টোবরে ৯৬ জন, নভেম্বরে ৬৭ জন এবং ডিসেম্বরে অপহরণের শিকার হয় ৭৪ জন। এর মধ্যে আগস্ট পর্যন্ত প্রথম আট মাসে অপহরণের শিকার হয় ৩৪০ জন।

ওই সময় মাসে গড়ে অপহরণ হয়েছে ৪২.৫ জন। চলতি বছরের একই সময়ে এই গড় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৩৮ জনে; যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

এর মধ্যে চলতি বছর জুলাই মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে ১০৯ জন, যা গত ছয় বছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এ ছাড়া চলতি বছর জানুয়ারিতে ১০৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮ জন, মার্চে ৮৩ জন, এপ্রিলে ৮৮ জন, মেতে ৮২ জন, জুনে ৮০ জন এবং আগস্ট মাসে অপহরণের শিকার হয় ৯০ জন।

সম্প্রতি প্রকাশিত সিজিএসের ‘বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টস ২০২০-২৫; এ ডেটা-ড্রাইভেন লুক অ্যাট রাইজিং ক্রাইম ট্রেন্ডস’ প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালে মাসে গড় অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৮৬.১৭টি, যা গত বছর ছিল ৫৩.৫। আগের বছরের তুলনায় অপহরণ বেড়েছে ৬১.০৭ শতাংশ। গত ছয় বছরে এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড।’

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মামলার যে সংখ্যা আমরা দেখি, প্রকৃত ঘটনা তার চেয়ে বেশি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে মামলা করা যায় না। এখন দেশে আইন নেই, আইনের শাসনও নেই। ফলে অপরাধও কমেনি, বরং বেড়েছে।’

অপরাধবিষয়ক পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে অপহরণের হার অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। গত বছর শেষ চার মাসে দিনে গড়ে অপহরণের শিকার হয়েছে ২.৫২ জন। এর ফলে ওই বছর দৈনিক গড় অপহরণের সংখ্যা দাঁড়ায় ১.৭৬ জনে। চলতি বছর প্রথম আট মাসে এই ধারাবাহিকতা আরো বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে দৈনিক গড়ে অপহরণের শিকার হয়েছে ২.৯৮ জন। এর আগে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দিনে গড়ে অপহরণের সংখ্যা ছিল ১.৩৩ পর্যন্ত।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যখন কোনো অপরাধ বেড়ে যায়, তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কোনো একটি কারণ উপস্থাপন করে তার বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে নিয়ন্ত্রকদের এমন ব্যাখ্যা দাঁড় করানো অপেশাদারির লক্ষণ। এই চেষ্টার কারণে অপরাধীরা নানাভাবে সুযোগ পায়। রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশ ব্যবহৃত হওয়ায় তারা ভিন্ন দল ও মতকে দমন করে। ফলে সমাজে অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘গড়ে দৈনিক তিনজন অপহরণের অর্থ হলো দেশে আইনের শাসনের বড় ঘাটতি রয়েছে।’

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট