
অনলাইন ডেস্ক : ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মূলত আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত করতেই পরিকল্পিতভাবে এ অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে করে দলটি।
শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে এমন অরাজক পরিস্থিতি চললেও সরকারের ভূমিকা এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ, উদীচী ও ছায়ানটে অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা এবং ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার মতো ঘটনা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্র। কাপুরুষোচিতভাবে শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে ষড়যন্ত্রকারীরা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগাতেই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশবিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এ অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এজন্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত প্রস্থান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের সব শক্তিকে আবারও রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।