অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম কথা বললেও রাজনৈতিক একটা কথা চলে আসে। হেফাজতের পক্ষে অনেকেই আছেন নির্বাচন করতে চান, এই প্রশ্ন উঠেছে। উঠতে পারে, কারণ হেফাজতে ইসলাম তো কোন রাজনৈতিক দল নয়, হেফাজতে ইসলামের ভেতরেই অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে বিদায় তাদের পরামর্শ আমরা এই সমাজে গ্রহণ করি। হেফাজত ইসলাম সবার জন্য একটা পরামর্শক বা পরামর্শদাতা হিসেবেই বা অভিভাবক হিসেবে উনারা উনাদের দায়িত্ব পালন করছেন। সেই গাইডলাইনস নিতে তো আমাদের আপনাদের কোন আপত্তি নাই।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে লক্ষ্মীপুর হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্তোরায় হেফাজত ইসলামের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটা বক্তব্য শুনেছেন, প্রত্যেকটা কথা মেপে বলেছেন, বিশ্লেষণ দিয়ে তুলে ধরেছেন, ইসলাম সম্পর্কে কি বলতে হবে, দেশ সম্পর্কে কি বলতে হবে, পাশ্ববর্তী দেশ নিয়ে কি কথাগুলো বলতে হবে, সমাজ সম্পর্কে কি বলতে হবে, সবকিছু তিনি তুলে ধরেছেন। সর্বশেষ উনার কথা সবার আগে বাংলাদেশ। এরমধ্যে নিহিত আছে গণতন্ত্র, সমাজ, মানবিকতা।
এ্যানি বলেন, যারা ইসলামের প্রতি আঘাত হেনেছে, দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে যারা বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। পাশ্ববর্তী দেশের অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বরাবরই ইসলামের উপর আঘাত ছিল। বাংলাদেশে থেকে হাসিনা যে সকল অপরাজনীতি নেতৃত্ব দিয়েছিল বিধায় শেষ পর্যন্ত তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। হাসিনা পালিয়ে যাবার আগেই আমরা ওই শাপলা চত্তরে ২০১৩-তে আমরা যে ভূমিকায় ছিলাম, সর্বশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সে দৃঢ় ঐক্যবদ্ধতা এবং ইস্পাত কঠিন ঐক্যের কারণেই শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এটা এককভাবে কারো ক্রেডিট নেওয়ার কিছু নাই। আমরা বিএনপিও বলি নাই, ১৭ বছরে আমরা অনেক কিছু করে ফেলছি। তবে আমাদের চেষ্টার ক্রটি ছিল না।
হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির উপদেষ্টা আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী ফারুক হোসেন নুরনবী প্রমুখ।