অনলাইন ডেস্ক : ‘অন্তবর্তীকালী সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সরকার’ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার বিকালে এক সমাবেশে এনসিপির নেতৃত্বে সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই প্রশ্ন তুলেন।
তিনি বলেন,‘কি বলব? এই সরকারের মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পঁচে গিয়েছে। আমি ধারণা করছি এই সরকার বোধহয় এনসিপির সরকার। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই সরকার বোধহয় এনসিপির সরকার।”
কী মনে হয় আপনাদের (উপস্থিতি সমাবেশের লোকজনের উদ্দেশ্যে)? উনারা যখন-যেখানে যান প্রটোকল পান সরকারি প্রটোকল পুলিশ, বিডিআর আর্মির গার্ড থাকে, সার্কিট হাউস ব্যবহার করেন, সরকারি যান পান এমনভাবে বিষয়টা জানানো হয় যে, অমুক নেতা আসছেন দেখে রাখবেন।
প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, ভাই আমরা তো বহু জায়গায় যাই বহু গেলাম কই আমরা তো পাই? আমরা তো মন্ত্রী ছিলাম বহুদিন, ঢাকা মেয়র ছিলাম কই আমরা তো পাই না সরকারি প্রটোকল।
মহানগর দক্ষিন বিএনপির উদ্যোগে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে এই সমাবেশ হয়।
‘১০ মাসে তারা একজন হত্যাকারীও বিচার করতে পারেনি’
মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের বয়স ১০/১১ মাসের বেশি হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত স্বৈরাচারের দোসরদের একজনেরও বিচার করতে পারেন নাই্। হত্যাকারীদের গ্রেফতা্র করে নাই, বহু লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো আরামের সঙ্গে আপনারা বিচার করছেন না।
আমি বলি, ১১ মাস কি কম সময় এটা বেশি সময় না কিন্তু কম সময়ও না। ১০ মাসে একজন গর্ভবতী মা শিশুর জন্ম দেন।আপনারা একটি নতুন বন্দোবস্তের জন্ম দিতে পারলেন না পেরেছেন। অবশ্যই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আজকে কি পেরেছি আমরা? অনেকে আমরা টাকার কুমির হয়েছি, যাদের ঘরে একসময় খাওয়া ছিল না তারা কিছু খাওয়া পাচ্ছি। আপনারা মনে রাখবেন এই অন্যায়ের বিনিময়ে যা অর্জন করছেন, যারা ভক্ষণ করছেন পান করছেন শহীদদের রক্ত পান করছেন আপনারাএই কথা মাথায় রাখতে হবে।
কেনো শহীদ পরিবারের সদস্যরা ‘এখনো সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছে না’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি।