অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে ভারতকে রেল করিডোর দিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, অবৈধ সরকার শুধু অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে তোষণ করতে গিয়ে দেশকে গোলামীর জিঞ্জির পরিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘জিয়া শিশু কিশোর মেলা-কেন্দ্রীয় কমিটি’ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। বেগম খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিএনপির সব নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ড. রিপন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকে দুরে রাখার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ওনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দন্ডিত করেছেন। আওয়ামী সরকার প্রধান ও তাদের লোকজন প্রায়শই বলেন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অথচ আদালতের ফরমায়েশী রায় পর্যন্ত কোথাও বেগম খালেদ জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন কথা লেখা নেই। অথচ তারা এই অসত্য বয়ান দিয়েই যাচ্ছেন। যদি বাংলাদেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা থাকতো তাহলে শুধু এই বক্তব্যের জন্য তাদের ১০০ বছরের জেল হয়ে যেতো।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সই হওয়া ১০টি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) দিকে ইঙ্গিত করে ড. রিপন বলেন, ওরা যেহেতু বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে জনগণের সরকার নেই বরং তাদের তাঁবেদার সরকার বসে আছে তাই তারা রেল করিডোর, সড়ক করিডোর ও নৌ করিডোরের নামে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধার ষড়যন্ত্র করছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন। জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কে এস হোসেন টমাস।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ সব রাজবন্দির দ্রুত মুক্তি দাবি করেন।