অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর করে দিয়েছে তারা। দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি আর নেই। এখন আছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।’
শুক্রবার বিকালে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর বাসায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঈন খান এসব বলেন।
মঈন খান বলেন, নির্বাচনের আগে যে কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে। এখন সরকার যদি ভাবে যে, মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে, তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, এটা সরকারের ভুল ধারণা। তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষের অধিকার একটা চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা। মানুষের অধিকার যদি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়, দেশ সৃষ্টির পেছনে যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, আটকের একটি মাত্র উদ্দেশ্য হলো- এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না সরকার। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার অধিকার হরণ করেছে।
মঈন খান বলেন, যারা বা যে প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করে থাকে, যেমন, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ। সরকার সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বিরোধীদলকে দমন, নিপীড়ন করেছে। সরকার জানে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে এ দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এ জন্য তারা বিরোধীদলগুলাকে কথা বলতে দিচ্ছে না। সুষ্ঠু নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে।
এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই জানিয়ে মঈন খান বলেন, এ দেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার শঙ্কিত ও ভীত। এজন্য সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কী হবে! ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কী পরিণতি হয়। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।
দুষ্টু চক্রের রাজনীতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন। এটা শুধু আপনাদের জন্যই নয়, জনগণের জন্যও মঙ্গলজনক।