——–চন্দন রহমান ——-
ছোট বেলায় ভাবতাম
বড় হলে আইসক্রিমওয়ালা হবো
ইচ্ছে মতো আইসক্রিম খাবো
তখন আমায় ঠেকায় কে?
পথ ভুলে হয়ে গেলাম
সংবাদের ফেরিওয়ালা।
কৈশরে চেয়েছিলাম
আজহারের মতো ব্যাট চালাবো
রোজ কয়েক ওভার খেলে
এক দুই রান তারপর এলবিডব্লিউ,
তোর আর খেলে কাজ নেই বলে
সবায় ধরে আম্পায়ার বানাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে
এক প্যাকেট বৃস্টলের লোভে
বন্ধুদের প্রেমপত্র লিখে দিতাম
আর প্রতিক্ষায় থাকতাম-
আমারো আসবে!
অবশেষে আমার ডাকে চিঠি এলো
সেখানে নেই কোন কালির ছোঁয়া
কি হতো দু’কলম লিখে দিলে ?
যাকে নিয়ে স্বপ্ন আঁকলাম, একদিন
সে এসে ভবিষ্যৎ চাইলো,
হৃদয় চিরে সুখ টুকু দিয়ে
আমি নিঃস্ব হলাম।
তারপর
বাবা বলে ব্যাংকার
মা বলে ইঞ্জিনিয়ার
শ্লোগানে শ্লোগানে
সব মিলিয়ে গেল
চারিদিকে শুধুই হাহাকার।
প্রিয় বন্ধু খোকন বললো
তুই বরং কবিই ব’নে যা
ভাবলাম মন্দ কি?
বিধি বাম – সেখানেও বিপত্তি,
ইদানিং নাকি
কবি হতে গেলেও
কোচিং করতে হয়
গ্রামারের রপ্ত আর
কঠিন শব্দের আয়ত্ব দেখে
সুশীল কবিরা কেবল সার্টিফিকেট
দিলেই কবি বনে যায়।
প্রত্যয়ন পত্র জুটল না বলে
কাব্য চর্চাও হলো না।
এতো ‘না” এর ভীরে
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
ধরাই দিল না।
তাই কিছুই হলো না…
।চ।ন্দ।ন। । র।হ।মা।ন।
০৩ এপ্রিল, ১৮ – ঢাকা