অনলাইন ডেস্ক : চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে দেশে ফেরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে বিমানবন্দরে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইমিগ্রেশন বিভাগ তাকে ‘অহেতুক’ বসিয়ে রেখে এই হয়রানি করে।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনি চিকিৎসা শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন আলাল। পরে ইমিগ্রেশন বিভাগ তাকে বসিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন আলালের একান্ত সহকারী জাহাঙ্গীর হাওলাদার।
এর আগে, আলালকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধার অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রেখে বসিয়ে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে বেলা ১২টা ৫০মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর আগে ভারতের চেন্নাইতে তার অপারেশন হয়েছিলো। নিয়মিত চেকআপের জন্য অনেক আগেই চেন্নাইতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকায় তিনি যেতে পারেননি। এতে তার শরীর অনেক খারাপের দিকে গেছে। কারামুক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী সৈয়দা নাসিমা ফেরদৌসীসহ ভারতে যাওয়ার সময় তাকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আজকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলে তাকে আবারও বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিদেশে যেতে কোনো বাধা নেই- উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তাকে বার বার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এর আগেও অপারেশনে যাওয়ার সময়ও তাকে বিমানবন্দরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। মানসিকভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২১শে ফেব্রয়ারি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান আলাল।